স্কুল কলেজে পড়ার সময় বা বলতে গেলে ২০০৬ সাল অবধি এই বুদ্ধিজীবি শব্দটার তেমন কোন তাৎপযর্ই ছিলনা রোজকার জীবনে। বরং তার প্রতিশব্দ আঁতেল ব্যবহার হত ব্যঙ্গাথর্ে। কেউ আটর্ ফিল্ম দেখতে গেছে? আঁতেল। ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি রেখেছে? নিঘর্াৎ আঁতেল। কাঁধে শান্তিনিকেতনি ঝোলা, এলোমেলো চুল? ব্যাটা শিওর আঁতেল। পাড়ার আড্ডায় প্রায় রোজকার বয়ান "ছাড়, আর আঁতলামো মারিসনা"। সেই বহুপরিচিত আঁতেল তো আদপে intellectuel যারে ফরাসিরা কয় অ্যাঁতেলেকতুয়েল্। আঁতেল এর আধুনিক বাঙলায় খোরাক মানেটা নিঘর্াৎ এসেছে কলেজ পাড়ায় ষাটের দশকে যখন হয়তো কোন কামু-সাত্রর্ অনুপ্রানিত কেউ ফরাসী জাহির করতে ঐ অ্যাঁতেলেকতুয়েল্ বলে ফেলেছিল। কূপমণ্ডুকতা তো সব জাতিরই বৈশিষ্ট, কম আর বেশী, তো বাঙালিরাই বা কম যাবে কেন, নিজের পরিধির বাইরে যা কিছু পড়ে তাকে হয় খোরাক দাও নয় ক্যালানি। তাই আঁতেল শব্দের বিবর্তনেও নিঘর্াৎ জুড়ে আছে কোন শহীদ যার আঁতেল হবার সাধ অকালেই ঘুচে গিয়েছিল।
No comments:
Post a Comment